শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
ঢাকার কন্ঠ প্রতিবেদক
ভূমির তথ্য:
উত্তরখানে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যের জমি আত্মসাধের চেষ্টা
মোঃ রিপন মিয়াঃ রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন কাঁচকুড়ায় মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সহিত দীর্ঘদিন যাবত মুদাচ্ছের মাদবর এর বিরোধ চলছে।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আলামিনের নিকট থেকে গত১১ই নভেম্বর ২০২২ সালে ৪৩৯৭ নং দলিলে তিনি সাড়ে ৫ শতাংশ জমি প্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্মি দলিল মূলে ভোগ দখল করে আসছে। মোঃ আলামিন সাহেব বেলায়েত সাহেবের নিকট ১৫৮২৩ নং দলিল মূলে ১৮/১০/২০০৪ সালে সাব-কবলা দলিল মূলে ক্রয় করেছিল। তারপূর্বে ফেরদৌসী বেগম ও বেলায়েত হোসেন দুঃখাই বেপারীর নিকট ১০৬৯০ নং দলিল মূলে ২২/১২/১৯৮৬ সালে সাব-কবলা দলিল মূলে ক্রয় করে। যাহার ১৩৬১নং জৌত,খতিয়ান ৩৯,১৮৭নং মৌজা,এস এ ২৫নং, ক্রয়কৃত জমির পরিমান ১১ শতাংশ।
ঢাকা (উত্তর) সিটি কর্পোরেশনের ৪৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর খানের কাচপুড়া এলাকায় আদালতে মামলা থাকা সত্ত্বেও জোরপূর্বক বাউন্ডারি ওয়াল ভাংচুর ও জমি দখল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। আদালতের মামলায় বিবাদী করা হয়েছে রাজ্জাকগনকে। সিনিয়র সহকারী জজ ২য় আদালত ঢাকা ( দেওয়ানি মামলা নং ১৫৫৫/২২) মামলাটি করেন সিরাজুল ইসলামগন।
পরে প্রথম পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক ওই নালিশি জমিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করেন। জারী করার পরও জোরপূর্বক জমিদখল করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাদী পক্ষের অভিযোগ, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবাদী পক্ষ জোরপূর্বক জমি দখল করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। বাদী মো. সিরাজুল ইসলাম মামলার আরজিতে বলেন, বিবাদীরা প্রচলিত আইন-কানুনের কোনো ধার ধারেন না। কোনোভাবে অন্যের বিষয়-সম্পত্তির ওপর অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করে অর্থ আত্মসাৎ করাই তাদের নেশা।
আরজিতে আরও বলা হয়, সিটি জরীপের উত্তরখান কাঁচকুড়া এলাকায় ২৪৬ নং খতিয়ান বাদীর পক্ষের বায়াদের নামে লিপিননা হয়ে বাদী পক্ষের বায়াদের ১ ও ২ নং বিবাদীদের লিপি হওয়ায় দলিল লেখকের ভুলে সি.এস ও এস এ খতিয়ান নং ভুল লিপি হওয়ায় ও আর. এস, একটি খতিয়ান নং বাদ পড়ায় বিবাদীগন অবৈধ পথে দখল নেওয়ার চেষ্টা করে।
আরজিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্র ও সমাজ উন্নয়নের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে কোনো বাধা নেই। রাষ্ট্র বা সমাজের কার্যক্রম উন্নয়নে পদ্ধতি আছে। জায়গার বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান আছে। জনস্বার্থে ওই উন্নয়নের জন্য জমির মালিকের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করে বিনা নোটিশে সীমানা প্রাচীর ভাঙার হুমকি দেয়া হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন উর ওখান থানার নির্মাণ কাজের বিরুদ্ধে আদালতের একটি আদেশ থানায় এসেছে। এ ব্যাপারে ঢাকা (উত্তর) সিটি কর্পোরেশনের ৪৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কারো জমি জোরপূর্বক দখল বা ভাংচুর হয়েছে কি-না আমি জানি না। কেও অভিযোগ করলে ঘটনাস্থলে যাবো। অভিযোগ আছে রাজ্জাকগন থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে জোরপূর্বক জমিদখলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।