বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
মহিদুল ইসলাম (শাহীন) বটিয়াঘাটা খুলনা
খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের গজালিয়া মৌজায় এক কৃষকের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে প্রায় ৪ বিঘা জমির চলতি আমন ধানের ফসল ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয় গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২৩) ভুক্তভোগী কৃষক আমানুল্লাহ সরদার বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় এক অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সুরখালী ইউনিয়ন গজালিয়ায় অবস্থিত জমাদ্দার ব্রিকস(জেবি) এর মালিকের ইন্দনে ইট ভাটার ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম ও মোঃ আসাদুল এর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন দুষ্কৃতিকারীরা উক্ত কৃষকের জমিতে প্রবেশ করে। পরে জমিতে থাকা আমন ধানের পাতা কেটে পার্শ্ববর্তী খাল-বিল ও নদীতে ফেলে দেয়। কৃষক আফজাল সরদার বলেন, গাওঘরা এলাকার ওহিদ সরদার, সাইদ সরদার দের কাছ থেকে ৩ বছরের চুক্তিতে লীজ নিয়ে আমি ধান চাষ করে আসছি। সেই সুবাধে এই মৌসুমেও আমন ধান রোপন করি। কিন্ত মঙ্গলবার সকালে দুষ্কৃতিকারীরা জমিতে প্রবেশ করে ধানের গাছ কেটে নদীতে ফেলে দেয়। আমি এর ক্ষতি পুরন ও বিচার চাই। অভিযুক্ত আঃ লতিফ জমাদ্দার বলেন, এর সঙ্গে আমি সহ আমার ইট ভাটার কেউ জড়িত না। তিনি বলেন,জমির মালিক এবং বর্গাদারের সঙ্গে বনিবনাই হয়নি যে কারণে জমির মালিক একাজ করেছে। তিনি আরও বলেন,ওখানে আমাদের বিপক্ষের কিছু লোক আছে তারা কোন কিছু হলেই আমাদের গায়ে দোষ দেওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রসাদ চন্দ্র রায় বলেন, এই কাচা ধান যেই কাটুক না কেনো তার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, এই জেবি ইট ভাটার জন্য এলাকার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তা-ঘাট সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বটিয়াঘাটা উপজেলার উপ- সহকারী কৃষি অফিসার সরদার আব্দুল মান্নান বলেন, যেখানে সরকার কৃষকদের জন্য এত সুযোগ সুবিধা দিয়েছে সেখানে এভাবে একটা কৃষকের এতো বড় ক্ষতি করা উচিত হয়নি। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ শওকত কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।