শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
স্বপন রবি দাস, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সিলেট বিভাগীয় মানবাধিকার তথ্য পর্যবেক্ষণ সোসাইটির উদ্যোগে নবীগঞ্জ উপজেলার ৩নং ইউপির ইনাতগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের নামকরণের বিষয়ে তদন্তে নেমেছে একটি টিম। গতকাল শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রহমান, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সচিব সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা সভাপতি মাও: এখলাছুর রহমান চৌধুরী, বালাগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আবুল খান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম মানিক, আব্দুর রকিব, সাংবাদিক সিজিল ও আবু তালেব ওই মসজিদে তদন্তে আসেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাতা পরিবারের সদস্য সাংবাদিক আশাহীদ আলী আশা’র সাথে আমিনুর রহমান গংদের মসজিদের নামকরণকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। আমিনুর রহমান গংরা মসজিদের নাম পরিবর্তন করে ছালেহা জামে মসজিদ হিসেবে নামকরণ করলে বিরোধ দেখা দেয়। এ ব্যাপারে দাতা পরিবারের সদস্য সাংবাদিক আশাহীদ আলী আশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত প্রদান করেন। উক্ত দরখাস্তে উল্লেখ করেন ঐতিহ্যবাহী ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদের নাম ওই লোকজন অর্থের বিনিময়ে পরিবর্তন করে লন্ডন প্রবাসী ছালেহা বেগমের নামে নামকরণ করে।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে দাতা সদস্য আশাহীদ আলী আশার অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে দুর্নীতি ও অনিয়মেরও সত্যতা পান। এর প্রেক্ষিতে আমিনুর রহমান মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মহোদয় সহ সাংবাদিক আশাহীদ আলী আশার বিরুদ্ধে রীট পিটিশন নং ৩৪১০/২০২২ইং দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি বিগত ১৫/৩/২০২২ইং তারিখে ছালেহা জামে মসজিদ বাংলাদেশ ওয়াকফ এস্টেট’কে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য দায়িত্ব পালনের আদেশ প্রদান করেন।
ওয়াকফ এস্টেট নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অফিসিয়াল মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে আমিনুর রহমান স্তগিত করেন।
রীট পিটশন বিচারাধীন থাকায় অবস্থায় বাংলাদেশ ওয়াকফ এস্টেট এবং আদালতের অনুমতি ছাড়াই অনুমোদন বিহীন কমিটির প্রভাবশালী হাজী হেলিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান গংরা মসজিদের দু’তলা ভবনের কাজ শুরু করেন। দাতা পরিবারের সদস্য আশাহীদ আলী আশা শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ’কে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। গত ১লা অক্টোবর ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই আবু বকর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করে দেন। পরে পুনরায় ফাড়ির ইনচার্জ এর ইঙ্গিতে কাজ শুরু করা হয়।
দীর্ঘদিন যাবত ইনাতগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ নিয়ে দাতা পরিবার ও আমিনুর রহমান গংদের বিরোধ চলছে চরমে। গত ১ অক্টোবর সাংবাদিক আশাহীদ আলী আশা মানবাধিকার তথ্য পর্যবেক্ষন সিলেট বিভাগীয় অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গতকাল শনিবার দুপুরে পর্যবেক্ষন টিম প্রথমে ইনাজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে যান। পরবর্তীতে জামে মসজিদে এসে তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে মসজিদে এসেছি। দাতা পরিবারের সদস্য আশাহীদ আলী আশা তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন। আমিনুর রহমান গংরা এখনো পর্যন্ত কোন কাগজপত্র দাখিল করেননি। তবে করবেন বলে জানিয়েছেন।