শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ অপরাহ্ন
তাহমিদুর হাসানঃ
আজকের বিশ্ব স্বাস্থ্য “আমার রোগীদের 95% এরই প্রাথমিক পর্যায়ে যৌন ক্ষমতায় সমস্যা ছিল। দূর্ভাগ্যবসত, চিকিৎসকেরা তাদেরকে পুরুষত্বহীনতার সবগুলো বিপদের কথা বলে না আর প্রায়শই ভায়াগ্রা সেবনের পরামর্শ দেয়…. এরফলে, খুব অল্প সংখ্যক রোগীকে অপারেশনের টেবিলে বাঁচানো সম্ভব হয়।”
তাহমিদুর হাসান, অধ্যাপক, প্র্যাকটিসিং ইউরোলোজিক্যাল সার্জন, সেন্টার ফর রেস্টোর্যাটিভ মেডিসিন এর সার্জিক্যাল বিভাগের প্রধান।
-তাহমিদুর, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যৌন সমস্যার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর প্যাথলোজিগুলো আরও যৌবনদিপ্ত হয়ে উঠছে। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই ঘটছে। যাইহোক, সমস্যাটি এতো প্রকট হওয়া সত্তেও, খুব কম মানুষই চিকিৎসকের কাছে যায়, বরং তারা ভায়াগ্রা বা এধরনের ঔষধই বেছে নেয়। আমাকে বলুন, ধরণের চিকিৎসায় বিপদটা কোথায়?
-প্রথমত, ভায়াগ্রা বা এধরনের সিন্থেটিক ঔষধ সেবনকে কখনই চিকিৎসা বলে গণ্য হয়নি। এমনকি এর চেয়ে বড় বিষয় হলো, এই ঔষধগুলো কখনই ঔষধ হিসেবে বিবেচিত হয়নি। এগুলো হলো মাইগ্রেনের জন্য পেনকিলার খাওয়ার মত। এর ফলে উত্থান কিছুক্ষণের জন্য অসাভাবিক হবে, কিন্তু সমস্যাগুলো যে শুধু রয়ে যাবে তা নয়, বরং আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। সূত্রটা খুবই সহজ, যত আপনি ভায়াগ্রা সেবন করবেন, ততই আপনি যৌন ক্ষমতাকে দূর্বল করে দিবেন।
ভায়াগ্রা সেবনের ভয়ানক পার্শ্ব প্রতিকৃয়া রয়েছে-মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে হার্টঅ্যাটাক পর্যন্ত। আরও আছে, এটি রক্তের রাসায়নিক গঠন পরিবর্তন করে দেয়। কিন্তু সেক্স থেকে বিরত রাখা আরও খারাপ, কারণ এটা প্রস্টেটে ক্যান্সার সেল এর # 1 কারণ।
অনেক পুরুষ আবার ভায়াগ্রাও সেবন করেন নাঃ তারা সেক্স করাই একেবারে বন্ধ করে দেন। কোন যৌন ক্ষমতা নাই, এবং এটাই হোক, আর এটাই স্বাভাবিক…. এটা বিশেষত বৃদ্ধদের জন্য সত্য। যাইহোক, যৌনতার অভাব একজন পুরুষকে খুব দ্রুত শেষ করে দেয়।
-আপনি কি আপনার বক্তব্যটি ব্যাখ্যা করবেন, যে যৌনতার অভাবে ঠিক কোণ বিপদটা হয়?
– এটি বিপদ জনক কারণ দীর্ঘ বিরতির কারনে ক্যান্সারজনিত পুনরুৎপাদনের কেন্দবিন্দু হয়ে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি ঘটতে পারে। সেক্সের অভাবে প্রোস্টেটে কি হয় দেখুন….
প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড এর অন্যতম প্রধান কাজ হলো একটি বিশেষ সিক্রেট, যা, বীর্জপাতের সময় স্পার্মাটোজোয়ার সাথে মিশ্রিত গিয়ে তাদের পাতলা করে। গ্ল্যান্ডটি একটি অপরিবর্তনীয় নিঃসরণ বহন করে। ঠিক একটি মুরগির ডিমে যতটুকু বিদ্যমান। এখন কল্পনা করে দেখেন যে এধরনের কোন প্রোটিন দীর্ঘ-সময়ের জন্য জমতে থাকলে কী ঘটতে পারে? এটি যখন বীর্জপাতের দীর্ঘ বিরতির কারনে নিজে থেকে নবায়ন না হয়, এই ধরেন এক মাসের বেশি? এটা “পচে” যায়, এর মধ্যে রোগের জীবানুর সংক্রামণ ঘটে। শুধুমাত্র তীব্রতার মূহুর্তগুলোতে প্রোস্টেটিটিসে এটা অনুভূত হতে পারে( ব্যথার এবং প্রসাবে সমস্যার মাধ্যমে, অন্য সময় এর প্যাথলোজি উপসর্গবিহীন। জীবানু টিস্যুর গভীরে ঢুকে যায়। এই ভেতরে গমন আরেকটি ভয়ানক প্রকৃয়ার সূত্রপাত ঘটায়। অর্থাৎ, গ্ল্যান্ড টিস্যুর একটানা প্রদাহের পেছনে ক্যান্সার সেলের উপস্থিথি।