শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
তুরাগের বউবাজারে ফুডকোর্ট মার্কেট উচ্ছেদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ কর্তৃক ছয়টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ম্যাগাজিন ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার; ভাসানী ফাউন্ডেশন নিউইয়র্কের আলোচনা সভায় বক্তারা মওলানা ছিলেন রাজনীতিকদের আইকনিক নেতা  তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার তুরাগের বউবাজার মার্কেট উচেছদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন ড. ইউনূস সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে’ সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে  প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স’র কার্যকরি কমিটি (২০২৪-২০২৬)গঠন ১০ নভেম্বর ২০২৪ শহীদ নুর হোসেন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক : ডা. ইরান রাজধানী,তুরাগে ছেলের হাতে মা খুন

যশোরে ওমর হত্যাকাণ্ডে আটক ৩ লাশ গুমের ব্যবহৃত মাইক্রো উদ্ধার

নিউজ দৈনিক ঢাকার কণ্ঠ 

মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন তুহিন, যশোর জেলা প্রতিনিধি 

সিসি টিভির ফুটেজ ও মোবাইলের কল লিস্ট দেখেই যশোরের বেনাপোলে ওমর ফারুক সুমনের তিন খুনিকে আটক করেছে যশোরের জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।এসময় সুমনকে হত্যার পরে লাশ গুম করার জন্য ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোররাতে আটকের পর তাদের যশোরে নিয়ে আসা হয়েছে আটককৃতরা হলো, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আলিকামুড়া গ্রামের সুনিল চন্দ্র দাসের ছেলে বর্তমানে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকার বাসিন্দা ডালিম কুমার দাস (৩৩), কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর গ্রামের ঠাকুরদাস নিয়োগির ছেলে বর্তমানে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকার বাসিন্দা অঞ্জন নিয়োগি (৪৯) ও পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের দৌলত মুন্সির ছেলে বর্তমানে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ হোসেন (৩৮) ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, তিন কোটি টাকার সোনা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ নভেম্বর যশোর বেনাপোলের আন্তর্জাতিক সোনা চোরাচালান চক্রের প্রধান হোতা কামালের নেতৃত্বে যশোর শার্শা উপজেলার টেংরালি গ্রামের ওসমান গণির ছেলে ওমর ফারুক সুমনকে অপহরণ করা হয়।

এরপর তাকে পিটিয়ে হত্যার পরে এসিড দিয়ে পরিচয় গোপন করার উদ্দেশ্যে বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে মাগুরার রামনগর এলাকার একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে রাখে। গত ১৬ নভেম্বর সকালে মাগুরা এবং যশোরের ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় সুমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের মা ফিরোজা বেগমের দায়ের করা মামলাটি চাঞ্চল্যকর বলে মনে করেন জেলা প্রলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।

ফলে ডিবি পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেন, এসআই মফিজুল ইসলাম ও এসআই শামিম হোসেন ঘটনাস্থলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং ওই এলাকার মোবাইল নম্বরের কললিস্ট পর্যালোচনা করা হয়। এরপরে উঠে আসে হত্যাকাণ্ডের কাহিনী এবং লাশ কোথায় কিভাবে নেয়া হয়েছে। একই সাথে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের ও সন্ধানে কাজ শুরু করে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতেই তারা জানতে পারে সুমনকে হত্যা করে লাশটি গোপন করার জন্য ব্যবহৃত হাইয়েক্স মাইক্রোবাস এবং তিনজনের সন্ধান পেয়ে রাতেই অভিযান চালানো হয় ঢাকায়।

ভোর রাতে ওই তিনজনকে আটক ও লাশ গুমের জন্য ব্যবহৃত একটি গাড়ি উদ্ধার করে শুক্রবার তাদের যশোর আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার তাদের তিনজনের জবানবন্দি গ্রহণ করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com