রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
তুরাগের বউবাজারে ফুডকোর্ট মার্কেট উচ্ছেদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ কর্তৃক ছয়টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ম্যাগাজিন ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার; ভাসানী ফাউন্ডেশন নিউইয়র্কের আলোচনা সভায় বক্তারা মওলানা ছিলেন রাজনীতিকদের আইকনিক নেতা  তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার তুরাগের বউবাজার মার্কেট উচেছদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন ড. ইউনূস সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে’ সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে  প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স’র কার্যকরি কমিটি (২০২৪-২০২৬)গঠন ১০ নভেম্বর ২০২৪ শহীদ নুর হোসেন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক : ডা. ইরান রাজধানী,তুরাগে ছেলের হাতে মা খুন

মাদক ও কিশোর গ্যাং সমাজের জন্য হুমকি

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

কাজি আরিফ হাসানঃ
বর্তমান সমাজে কিশোররা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কিশোরদেও সাথে মিশে গেছে মাদক। আজকের কিশোর আগামীতে যুবক আর এক সময় এই যুবকরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে। কিন্ত কেনো আজ তারা কিশোর গ্যাং হিসেবে সমাজে পরিচিত ? আর কারাই বা এই কিশোর গ্যাং? যারাই এ সমাজে কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত তারাই কারোর সন্তান,ভাই স্বজন। কেনো তারা এই সমাজে কিশোর গ্যাংয়ে অভিশাপে । আর এই কিশোর গ্যাং সাধারণ সমাজে উঠতি বয়সে ছেলেরা। এদের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে জানা যায়,এরা সমাজে বখে যাওয়া উঠতি বয়সের ছেলেরা।  এদের সাথে যোগ দিচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
এদের দেখা যায়,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ার পরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ৬/৭ জন্য একত্রে আড্ডা দেয় ও সেই সাথে মোবাইলে গেমস খেলে আর পথ দিয়ে চলাচলের সময় মেয়েদের উত্যক্ত করে। এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে এই কিশোর যুবকদের কবলে পড়ে মারধরের শিকারও হতে দেখা যায়। এই কিশো গ্যাং সমাজে ৬/৭ জন নয় এরা সংখ্যায় অনেক। এদেরকে প্রতিহত করতে চাইলে এরা অন্য মহল্লার থেকে এদেরই মত উঠতি বয়সে ছেলেদের মুঠোফোন ডেকে এনে প্রতিবাদকারীকে মারধর করে।
এই কিশোরা অনেকেই সাথে ছুরি-লাঠিও বহন করতে দেখা যায়। তথ্য নিয়ে জানা যায়,অনেক উঠতি বয়সে ছাত্ররা তাদের ব্যাগে করে ছুরিও নিয়ে যায় তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। শুধু তা-ই  নয় যারা কিশোর গ্যাং নামে সমাজে পরিচিত তারই আবার মাদকের করাল গ্রাসে জড়িয়ে পড়ছে। এরা এলাকায়-মহল্লায় বিকাল থেকে রাত ১০/১১ পর্যন্ত ৬/৭ জন মিলে আড্ডা দেয় এবং আড্ডার মাঝেই মাদক সেবন, মাদক কেনা-বেচা ও মাদক বহনও করে থাকে। এই মাদক সেবন ও মাদক কেনার জন্য এদের টাকার প্রয়োজনে বেছে নেয় চুরি-ছিনতাইসহ সমাজে নানা অপরাধ। মাঝে মাঝে এদের কেউ ধরা পড়লেও কিছু দিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও এই পথেই ঝুকে পড়ে।
রাজধানীর উত্তরে অনেক এলাকার স্থানীয়রা সংবাদ মাধ্যকে জানান,বর্তমান সমাজে এই কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা আমাদের সন্তানদের সুস্থভাবে পথ চলতে বাধার মুখে পড়ছি প্রতিনিয়ত। আজকের কিশোর আগামীতে দেশে বিভিন্ন গুরুদায়িত্ব হাতে নেবে অথচ সেই শিশোররা মাদকের কবলে ঝুকে পড়ছে।
এই কিশোররা সন্ধার পর যেখানে ঘরে থাকার কথা সেখানে তার কেনো রাত ১০ টা পর্যন্ত বাইরে থেকে বিভিন্ন অপরাধের সাথে লিপ্ত থাকবে? অনেক কিশোররা মাদক সেবনের জন্য নিরিবিলি স্থান বা পরিত্যক্ত ভবনে ছাদেও নিরবে মাদক সেবনের স্থান বেছে নেয়। এই কিশোররা মাদক সেবন করবে আর সারাদিন মোবাইলে গেমস খেলবে এবং মাদকের টাকা জোগাড় করতে না পারলে সমাজে মারা-মারি ও অপরাধমূলক কাজে জড়াবে।
সরেজমিনে রাজধানীর উত্তরে তথ্য নিয়ে জানা যায়,এ কিশোর ও মাদক ব্যাবসায়ীদের স্থান দক্ষিণখান এলাকায় গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ,প্রেমবাগান সংলগ্ন কেসি স্কুল রোডে, গাওয়াইর পেয়ার বাগান,হাজী ক্যাম্প সংলগ্ন শুভ হোটেল গলির মুখে,আশকোনা এলাকায় দিনে ও রাতে দেখা যায় ছিন্নমুলদের নেশা(ডেন্ডি নেশা) করতে,মোল্লারটেক উদয় স্কুলের আশপাশে,এছাড়া উত্তর খান থানা এলাকায় শাহ কবির মাজার এলাকায়,মৈনারটেকসহ কিছু নিরব এলাকায় এদের মাদক বেচা-কেনার স্থান,এমনও দেখা যায় উত্তরা ৪ নং সেক্টর সংলগ্ন লেভেল ক্রসিংয়ের আশাপাশেও রাতে অন্ধকারে চলার পথে মাদক কেনা-বেচা ও সেবন দেখা যায় দেখা যায় অনেক কিশোরদের।
এই মাদক ব্যবসা শুধু ঢাকা উত্তরে নয় সারা ঢাকা শহরের পাড়া-মহল্লায় একই চিত্র দেখা যায়,এই মাদকের বিস্তার যেনো সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ মাদক কোথা থেকে আসে,কারা সাপ্লাই দেয় এ সবই অন্ধকারেই থেকে যায়,শেষ হচ্ছে যুব সমাজ।  এমনকি ছোট ছোট মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং- এদের হুমকি আর অস্ত্রের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি। এছাড়া বিমানবন্দও স্টেশনের উত্তর ও পূর্ব পাশে কার পার্কিং এলাকায় দিনে-রাতে সনানেই মাদক সেবন ও কেনা-বেচা চোখে পড়ে। এমনও দেখা যায় অনেক সময় ২/১ জন মাদক সেবক বা মাদক ব্যাবয়ীদের প্রশাসন আটক করলেও মুলহোতা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এমনকি প্রশাসনের অনেকেই এই ভয়াল মাদকের করাল গ্রাসের মুখে পড়ার কথাও শোনা যায়। যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, সেখানে নিরবে কেনো দেশে মাদকের সয়লাব? এদেশ-রাষ্ট্র-সমজাকে ঘুনপোকার মত তিলে তিলে নিশ্বেষ করে দিচ্ছে এই মাদক,আর সেই সঙ্গে শেষ হয়ে যাচ্ছে উঠতি বয়সের কিশোররা।
শিক্ষাবিদরা সামাজের ব্যাধি কিশোর গ্যাং ও মাদক সম্পর্কে বক্তব্যে সংবাদমাধ্যকে জানায়,সমাজ থেকে কিশোর গ্যাং ও মাদক নির্মুল করতে হলে সরকার ও প্রশানকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে,এর পাশাপাশি অভিভাবকদের,জনপ্রতিনিধি,সমাজের বয়েজষ্ঠদেরও গুরুত্বপূণ ভুমিকা রাখতে হবে। অপরাধ বিশ্লেষকদেও মতে, কিশোরদের জন্য ব্যাপক বিনোদন,খেলাধুলা ব্যবস্থা করতে হবে সেই সাথে মসজিদে মসজিদে  নামাজের পূর্বে কিশোর অপরাধ ও ইসলামে মাদকের ওপর নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। এদেরকে শাসন বা বাধা দিলেও অভিভাবকদের হতে হয় নির্যাতন।

এই কিশোরদেও উৎপাত ও অত্যাচাওে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সমাজ।আরো তথ্য নিয়ে জানা যায়,এই মাদেকর কবলে শুধু তরুন বা কিশোররাই নয় ,এই ভয়াল মাদেকর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে অনেক তরুণীরাও। মাদক সমাজের জন্য অভিশাপ। মুক্তি চায় এই অভিশাপ থেকে সমাজের মানুষ। এ ধরনে কিশোর গ্যাং ও মাদক(ইয়াবা-গাজা-ফেনসিডিল,খাট,) ব্যাবসায়ীদের কে বা কারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তাদেরকে সমাজের সামনে এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দেখতে চায় বর্তমান আধুনিক সমাজ।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com