রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন সন্ত্রাস-সহিংসতায় চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। রোববার (০৪ জুলাই) দুপুরে সংসদ ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারা অনেক ঘটনা ঘটাচ্ছে। আন্দোলন তো আন্দোলনের জায়গায় নেই, এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এখন সন্ত্রাস-সহিংসতায় চলে যাচ্ছে। আমাদের শান্তির পক্ষে অবস্থান ছিল, আলোচনার পক্ষে অবস্থান ছিল। সহিংসতার ফলে হতাহতের যে ঘটনা ছিল তার বিচারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলেন যারা আহত-নিহত হয়েছেন এদের মধ্যে অনেক শিশুরাও ছিল। শিশুদের জন্য মনে কষ্ট আছে, কষ্ট হয়। অনেকে কেঁদেছেন, অনেকে রাস্তায় মিছিলে কেঁদেছেন, অনেকে টিভি ক্যামেরার সামনেও কেঁদেছেন- আমরা দেখেছি। আমি মনে করি এই মৃত্যুর জন্য বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ কাঁদছে, হয়তো সবার কান্না দেখা যাচ্ছে না। আজকে এই মৃত্যুগুলোর জন্য কী করতে হবে? বিচার করতে হবে, তদন্ত করে জানতে হবে কারা এগুলো করেছে। এই শিশুগুলো তো সরকার পতনের আন্দোলন করছিল না। শিশুগুলো বেঁচে থাকলে সরকারের কী ক্ষতি হতো। শিশুগুলোর মৃত্যুতে সরকারের কী লাভ হয়েছে? আমি সাধারণ মানুষের বিবেকের কাছে প্রশ্নগুলো করতে চাই, আপনারা একটু চিন্তা করে দেখবেন। ঘরে বসে থাকা বাচ্চা এবং নারী তারা তো ঘরেই বসেছিল। এই মৃত্যুগুলো এই লাশের উপর দাঁড়িয়ে কারা সুবিধা নিয়েছে? কারা মানুষকে উসকে বিপথে পরিচালিত করেছে। তাদের বিভিন্ন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা সবাই বিচার চাই, কিন্তু আপনি তো রায় দিয়ে দিচ্ছেন। আমরা বলছি বিচার চাই সেজন্য একটি জুডিশিয়ারি কমিটি করেছি। তারা আজক কাজ শুরু করেছে। তারা কিন্তু বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আনছে। বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বলবে কিন্তু কী ঘটেছে একেবারে স্বচ্ছতার সঙ্গে। সেটা হলে জানতে পারব কিভাবে হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ভেতরে কেউ মেরে দিল কিনা আন্দোলনকে উসকে দেয়ার জন্য, নাকি পুলিশের গুলিতে সেটি জানা যাবে।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, কোটা অধিকারের যে আসল দাবি তাদের এখন তারা সে জায়গায় নেই। এই ঘোষণা দেওয়ার পর এটা অর্জন করতে চাচ্ছেন সন্ত্রাস এবং সহিংসতার মাধ্যমে। তা না হলে কেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে হামলা করতে হবে? আমরা ধৈর্য ধরেছি, আরও ধৈর্য ধরতে চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচিতে বিএনপি একাত্মতা প্রকাশ করেছে এটি কিভাবে মোকাবিলা করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেনি। বিএনপির তো আগেরই দাবি এটা। তারা বিএনপির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এখন আর তারা আলাদা থাকলো না। এখন এটা বিএনপি-জামায়াতই হয়ে গেলো।