বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
দেশে পেট্রোলিয়াম জ্বালানিখাতের সবচেয়ে আইকনিক প্রকল্প ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট (ইআরএল-২)। এটি নির্মাণে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ) ন্যূনতম ৫১ শতাংশ চায় আগ্রহী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ। তবে প্রকল্প পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের কর্তৃত্ব বজায় রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) চায় ৬০ শতাংশ।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে জমা দেওয়া এস আলম গ্রুপ প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনায় বিপিসির গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়। ৩০ লাখ টন ক্রুড জ্বালানি পরিশোধন সক্ষমতার জন্য নেওয়া বিপিসির প্রকল্পটি পিপিপির মাধ্যমে ৩০-৫০ লাখ টনের পরিশোধন সক্ষমতার প্ল্যান্ট তৈরির আগ্রহ দেখায় এস আলম গ্রুপ।
তবে বিপিসির ওই প্রতিবেদনে প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ ও প্রকল্প মূল্য উল্লেখ করা হয়নি। কমিটির জমা করা সমঝোতা স্মারক প্রস্তাবনাটি আইনি দিক পর্যালোচনা ও মতামতের জন্য বর্তমানে আইন এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে রয়েছে বলে জানা যায়।
দেশের পেট্রোলিয়াম জ্বালানি পরিশোধনে দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির প্ল্যান্টটি প্রায় ৫৮ বছরের পুরোনো। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১৫ লাখ টন ক্রুড অয়েল পরিশোধন করে। সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ৩০ লাখ টনের দ্বিতীয় প্ল্যান্টটি ভৌত বাস্তবায়ন শুরুর পর্যায়ে অর্থ সংকটে জটিলতায় পড়ে নিজস্ব অর্থায়ন থেকে সরে আসে সরকার। চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ এস আলম গ্রুপ পিপিপিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগ্রহ প্রকাশ করে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে সমঝোতা স্মারক প্রস্তাবনা জমা দেয়।