বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
এস, এম, মনির হোসেন জীবন, বিশেষ প্রতিনিধি :
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোটিপতি চাঁদাবাজ কে এই নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু! জনমনে প্রশ্ন? চাঁদা বাজ নুরুর খুঁটির জোর কোথায়? কে তার আশ্রয় ও শেল্টার দাতা। এটি এখন একমাত্র দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট একাধিক বিশ্বস্হ তথ্য সূত্রের।
জানা গেছে, বিমানবন্দর থানা এলাকাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একাধিক অপরাধী চক্র। এই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যদের মধ্যে কেউ সোনা চোরাকারবারি, কেউ চাঁদাবাজ, কেউ রঙবাজ, মলপার্টি ও অজ্ঞান পার্টির সদস্য, কেউ ছিনতাইকারী ও ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য রয়েছে । তবে এদের সহজে মুখ চেনার কোন উপায় নেই। আটক হবার পর সেটার প্রমীন মিলে। বিমানবন্দর এলাকায় তারা শিকারের অপেক্ষায় সারাক্ষণ ঘুরে বেড়ায়। ওরা বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাহিরে ঘাপরি মেরে বসে থাকে। সুযোগ পেলে তারা শিকার নামে এবং কমান্ডো স্টাইলে মানুষের সর্বত্র কেড়ে নেয়। এমনি একজন চাঁদাবাজের নাম বরিশাইল্যা নুরুল ইসলাম নুরু। এক সময় সে বিমানবন্দর পার্কিং এলাকার চাঁদাবাজী করত। পরে থানার দালাল পুলিশের সোর্স ও কমার্শিয়াল লাইনম্যান হিসেবেও কাজ করতো। প্রতিমাসে তার অবৈধ পথে ও চাঁদা বাজি করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় ছিল। বিগত ১৬/১৭ বছরে তিনি আজ কোটিপতি বনে গেছেন । বর্তমানে তার রয়েছে একাধিক বাড়ি, গাড়ি, আবাসিক হোটেল, ক্যান্টিন, কাউন্টার ও দালাল নিয়োগ বাণিজ্য। এসব খাত থেকে সে মাসিক ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে আদায় করত।
আজ শনিবার সকালে বিমানবন্দর একাকায় সরজমিন পরিদর্শন ও স্হানীয় লোকজনের সাথে আলাপকালে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্র জানা গেছে, দলীয় প্রভাব বিস্তার করে এভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে নুর ইসলাম গড়ে তুলেছেন কালো টাকার পাহাড়। দলীয় নেতা মাস্তান প্রশাসন মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে এভাবেই চলছে বিমানবন্দর এলাকায় নুর ইসলাম এক ধরনের সন্তাসের রাম রাজত্ব কায়েম করছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ার পর বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের হাতে গণধোলাই শিকার হয় নুরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া পলাতক থাকলেও বিএনপি কোন কোন বড় নেতৃবৃন্দকে হাত করে কোটি টাকা লেনদেন বিনিময়ে আবারো সক্রিয় এই চাঁদাবাজ বরিশাইল্যা নুরুল ইসলাম। এই কারনে তাকে সবাই ভয়ের চোখে দেখে। তার রয়েছে নিজস্ব একটি লাঠিয়াল বাহিনী। এছাড়া কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ। যারা তাকে এই কাজে সহযোগিতা করেন। কেউ যদি তার কাজে বাধা দিতে আসে তখন তাকে হতে হয় বলির পাঠা। তার ওপর চলে অত্যাচার ও সীমাহীন অহেতুক নির্যাতন। তাই সকলে তাকে অপরাধী নুরু হিসেবে চিনে। তার অবৈধ চাঁদা বাজী বন্ধে স্হানীয় প্রশাসনসহ যৌথ বাহিনীর জরুরি পদক্ষেপ কামনা করছেন মটর শ্রমিক ও গাড়ি ব্যবসায়ী স্হানীয় এলাকাবাসী।
এব্যাপারে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ওরফে নুরুর সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।