শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
তুরাগের বউবাজারে ফুডকোর্ট মার্কেট উচ্ছেদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ কর্তৃক ছয়টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ম্যাগাজিন ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার; তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার তুরাগের বউবাজার মার্কেট উচেছদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন ড. ইউনূস সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে’ সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে  প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স’র কার্যকরি কমিটি (২০২৪-২০২৬)গঠন ১০ নভেম্বর ২০২৪ শহীদ নুর হোসেন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক : ডা. ইরান রাজধানী,তুরাগে ছেলের হাতে মা খুন অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না ডয়চে ভেলেকে বলেন, 

আমি কেন বারবার আসামি হচ্ছিঃ সরদার বেলায়েত হোসেন মুকুল

নিউজ, দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

ঢাকা, নীতি নৈতিকতা আদর্শের ধারক ও বাহক একজন সাদা মনের মানুষ রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান থানাধীন সরদার বাড়ীর সন্তান জনাব, সরদার বেলায়েত হোসেন মুকুল। যিনি তার জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মানুষ ও মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে মানব কল্যাণের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

তিনি এক সময় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও ২০০০ইং সালে সেচ্ছায় পদত্যাগ করে অবসর নেন। ইতঃপর নিজেকে সক্রিয় কোন রাজনীতিতে না জড়িয়ে দক্ষিণখান তথা বৃহত্তর উত্তরাবাসীর হৃদয়ের মনি কোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছেন। সত্যি সাদা মনের মানুষ এই সরদার বেলায়েত হোসেন মুকুল।

তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জিবনী সরজমিন তদন্তে জানা যায়, তার বর্তমান বয়স- ৬৫ বছর। তিনি তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বাড়িভাড়া এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে দিনাতিপাত করে আসছেন। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে সম্পূর্ণ বেআইনি, হীন মানসিকতা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বারবার বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে তাকে হেনস্হা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন।

এ বিষয়ে সরদার বেলায়েত হোসেন মুকুল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়ীত্ব দেয়া হয়েছিল ২৫/০১/১৯৯৫ইং সালে।

কিন্তু নৈতিক বনা-বনি না হওয়া, শীর্ষ নেতার সাথে বাক-বিতন্ডার কারনে আমি সেচ্ছায় পদত্যাগ করি ২৭/০১/২০০০ ইং সালে।

আর ২০০০ সালের পর থেকে আমি রাজনৈতিকভাবে কোন দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এমনকি এর পরে আওয়ামীলীগের অফিসেও কোনদিন যাই নাই।

আমি আমার নিজ কর্ম করে সৎ পথে জীবিকা নির্বাহ করে চলছি। আমার সাথে ব্যক্তিগত কারো কোন শত্রুতা নাই। কিন্তু বিগত সরকার পতনের পর একটি মহল আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে ব্যস্ত। যা আমার জন্য যেমনি দুঃখজনক, তেমনি কষ্টজনক।

তিনি আরো বলেন, আমি ৪ সন্তানের জনক এবং ৬ জন নাতী-নাতনী রয়েছে। সন্তানরা সকলে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত।

আমার দুই মেয়ে স্বামী-সন্তান সহ কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করচ্ছে।

ছেলে আইন বিষয়ে ও পূত্রবধু অর্থনীতি বিষয় নিয়ে মস্কোতে পি,এইচ, ডি অধ্যায়ন রত।

আমার পরিবারের কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে সমাজ উন্নয়নের জন্য মাদকবিরোধী সংগঠন “লীড” প্রতিষ্ঠা করি। তাই এই সংগঠনে সমাজের সকলকে নিয়ে সচেনততার লক্ষ্যে কাজ করি ।

পিতার দানকৃত জমিতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ ও পারিবারিকভাবে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলি দেখশুনা করি। নিজ এলাকায় শুধুমাত্র সামাজিক অনুষ্ঠান, যেমন- মিলাদ ও ওয়াজ মাহ্ফিল, জানাজা, দাওয়াত-পর্বন,স্ কুল-কলেজের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়া আর অন্য কোন ক্রিয়া-কর্ম অথবা রাজনৈতিক মিছিল বা সমাবেশে যাই নাই।

সিনিয়র বা প্রবীণ হিসাবে এলাকায় সবাই সন্মানের চোখেই দেখে বলে জানি। দল মত নির্বিশেষে সকলের সাথে আমার সু-সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি সততার সাথে জীবন-যাপন করে আসছি। পৈত্রিক সম্পত্তির বাহিরে আমার আর কোন সম্পত্তি নাই।

এছাড়া আমাদের পারিবারিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১.দক্ষিণখান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

২. সরদার সূরুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।

৩. রাহমিনা মাদ্রাসা। এগুলো তত্ত্বাবধানে নিজেকে নিয়োজিত রাখি।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ২০০০ ইং সালের পরে ভূল করেও আর আওয়ামী লীগ অফিসে যাই নাই। রাজপথে কোন মিটিং বা মিছিলে যাই নাই। আমার পিতার দান করা জমিতে প্রতিষ্ঠিত মসজিদুল খাজা খিজর। বর্তমানে আমি উক্ত মসজিদের সভাপতির দায়ীত্ব পালন করে আসছি।

এলাকার প্রাচীন বিদ্যাপিঠ: উত্তরখান হাই স্কুলের কার্য্যকরী কমিটির আমি সাবেক চেয়ারম্যান। এছারাও আমি

১)আজীবন দাতা-কাঁচকুড়া হাই স্কুল।

২)আজীবন দাতা-মৈনার টেক হাইস্কুল।

৩)আজীবন দাতা-উত্তরখান হাই স্কুল।

আমার প্রত্যাশা- জুলাই ছাত্র জনতার আন্দোলনে গনহত্যার বিচার হোক। দুর্নীতি- দুঃশাসন, অর্থ পাচারকারী, লুটেরাদের বিচার হোক। বাংলার মানুষ একটা সঠিক, সুন্দর দেশ উপহার পাক এটাই আমার চাওয়া। তিনি বলেন- আমিতো কারো বিরুদ্ধে অন্যায় করিনা। অন্যায়ের পথেও থাকিনা। সত্য ন্যায়ের পথে থেকে,মানবতার সেবা করতে চাই। তবে আমার বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে? কেন হয়রানীর শিকার হবো?

এলাকার অনেকের সাথে আমরা আলাপ করি, দক্ষিনখান এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা জনাব আফজাল হোসেন(৭২) বলেন, সরদার বেলায়েত হোসেন মুকুল এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। ছোটবেলা থেকে আমরা থেকে দেখে আসছি।

আমরা কখনো তার কোন অন্যায় দেখিনি। কিন্তু এখন তাকে বিভিন্ন অজুহাতে যে মামলা গুলো দেওয়া হচ্ছে। তা শুধু তাকে নয় সুধি সমাজকেও বিব্রত করে। এমন মিথ্যা হয়রানী আমাদের কাম্য নয়।

সংশ্লিষ্ট সকল মহলের কাছে তাকে মিথ্যা হয়রানী বন্ধের আহব্বান জানাই।

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com