রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
ইউনূস সরকার সীমা ছাড়িয়ে গেছে মন্তব্য করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আঘাত আসলে প্রতিঘাত করতে হবে।’ শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার জার্মানির কোলোন শহরে জার্মান আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করছে- তাদেরকে নাকি খুন করবে। কাজেই এখন আর বসে থাকার সময় নাই। আঘাত আসলে প্রতিঘাত করতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে। এই অবৈধ সরকারের হাত থেকে, এই অন্ধকার, নির্যাতন থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দিয়েছে, এগুলো আমরা মেনে নিতে পারি না। কাজেই সেইভাবে নামতে হবে মাঠে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সবাই আমার কাছে নির্দেশনা চাচ্ছে, আমি সেই নির্দেশনা দিচ্ছি।…যার যা কিছু আছে তা নিয়েই আপনাদের প্রস্তুত হতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে। মানুষকে বাঁচাতে হবে। আমার একটাই কথা- সীমা ছাড়িয়ে গেছে। যারা প্রবাসের তাদের আরো সক্রিয় হতে হবে। দেশের মধ্যে যারা তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের আমলে নাকি জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়ে মানুষের জীবনের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরে যাওয়ার পর কি জিনিসপত্রের দাম কমেছে? কমাতে পেরেছে তারা? সেই ক্ষমতা তাদের আছে? তারা তো লুটপাটে ব্যস্ত, অর্থ সম্পদ বানানোতে ব্যস্ত। আমাদের সময়ে যে জিনিস ৩০ টাকা ৪০ টাকায় কিনতে পারতো তা এখন একশ টাকায় কিনতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কিন্তু পদত্যাগ করিনি। সাংবিধানিকভাবে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন করেছি, প্রধানমন্ত্রী হয়েছি। ইউনূস কিন্তু কোনো জনগণের ম্যান্ডেট নেয়নি, ক্ষমতা দখল করেছে। একেবারে গুণ্ডামি করে দখল করেছে। অবৈধ সরকার বাংলাদেশে যতগুলো সিদ্ধান্ত দেবে সবগুলোই অবৈধ বলে গণ্য হবে। অবৈধ ক্ষমতা দখলের দায়ে এদের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবে।’
দুপুর একটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলা এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, জার্মান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল ভূঁইয়া, সংগঠক বাঁধন মুন্সী, আহমেদ রাজু প্রমুখ।