সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
হাসান আহাম্মেদ সুজন, জামালপুর জেলা প্রতিনিধি।
টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে ঘুমন্ত তাবলীগী সাথীদের উপর খুনি সাদ’পন্হী কতৃক বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যার দ্রুত বিচারের ও ৭ দফা দাবিতে তাবলীগী জামাত ও তাওহিদী জনতা জামালপুর জেলার উদ্যোগে মানববন্ধন – স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১ ডিসেম্বর শনিবার সকালে স্থানীয় ফৌজদারী মোড়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে পরে জেলা প্রশাসক বরাবর জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তাবলীগী জামাত ও তাওহিদী জনতা জামালপুর জেলা।
ইত্তেফাকুল ওলামা জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানের আহবায়ক আল্লামা মুফতী শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মুফতী বারীজ উদ্দিন ও মাওলানা আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ইত্তেফাকুল ওলামা জামালপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাওলানা মাসউদ হোসাইন, মাওলানা হাসান আলী, মাওলানা আমানুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা মেরাজুর রহমান, বড় মসজিদের খতীব মুফতী আব্দুল্লাহ, মহতামীম ডাকপাড়া মাওলানা আবুল কাশেম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মোহাম্মদ ইউনুস, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতী মোস্তফা কামাল,সহ-সভাপতি মুফতী সোলাইমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় ইত্তেফাকুল উলামা জামালপুর জেলা শাখার সকল নেতৃবৃন্দ ও তাবলীগী জামাত ও তাওহিদী জনতা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে,৭ দফা দাবীগুলো হলো ( ১) যে সমস্ত খুনিদের নামে মামলা হয়েছে তাদেরকে ও অজ্ঞাতদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে তাদেরকে ফাঁসি দিতে হবে ( ২) সারা বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। কারণ মসজিদ হলো পবিত্র স্থান আর তারা হলো খুনী ও সন্ত্রাসী। তাই তারা পবিত্র মসজিদে কোন কাজ করতে পারবে না। (৩) প্রতিটি জেলা থেকে যারা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া টঙ্গীর ময়দানে গিয়ে হামলা ও খুন করেছে তাদের সংখ্যা D.S.B,N.A.C, ও D.G.F..I. এর মাধ্যমে বাহির করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ( ৪) এবারের বিশ্ব ইজতেমা ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে একটিই হবে। আর কোন অবস্থাতেই মাওলানা সাদ সাবেক বাংলাদেশে আসতে পারবে না।এবং তাদের কোন ইজতেমা করতে দেওয়া যাবে না। ( ৫) টঙ্গী ময়দান এবং কাকরাইল মসজিদ উলামায়ে কেরামদের তত্ত্বাবধানে আছে ও থাকবে। কোন অবস্থাতেই সাদ’পন্হীর কোন সন্ত্রাসী আর কোনদিন টঙ্গী ময়দান এবং কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করতে পারবেনা। ( ৬) জামালপুর জেলা মডেল মসজিদসহ ৭ টি উপজেলার সাদ’পন্হীর কোন মার্কাজ অথবা কোন লোক মসজিদে বসে কোন আলোচনা বা সবগুজারী করতে পারবে না।করলে ফেতনা সৃষ্টি হবে। আর ফেতনা সৃষ্টি হলে এর দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হইবে। (৭) উপরোল্লিখিত দাবিগুলি অতিসত্বর বাস্তবায়ন করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি বিনয়ের সাথে আহবান জানাচ্ছি।