শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
পরকীয়ায় বলি স্বামী, ঘাতক স্ত্রী গ্রেফতার
জাহিদ হাসান,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি:// দৈনিক ঢাকার কন্ঠ নিউজ
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হয়েছেন মোঃ নাজিমউদ্দিন কাজী-(২৫) নামে এক যুবক। এ ঘটনার একমাস ১১ দিন পর স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করেছেন নিহতের স্ত্রী রুবি বেগম (২৩)। এদিকে এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে রোববার দিবাগত রাতে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ঘাতক রুবিকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর এলাকার পূর্ব আলীপুর গ্রামের মান্নান কাজীর ছেলে নাজিমউদ্দিন কাজীর সঙ্গে একই এলাকার কামাল সিকদারের মেয়ে রুবি বেগমের পারিবারিকভাবে প্রায় চার বছর আগে বিয়ে হয়। কিন্তু গত ২১ জুন রাতে স্বামী নাজিমউদ্দিন স্ট্রোক করে মারা যায় বলে এলাকায় প্রচার করে স্ত্রী রুবি বেগম। পরে তার লাশ স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দাফন করা হয়।
নিহতের বাবা-মা নেই। তবে নিহতের অন্য আত্মীয়দের মাঝে নাজিমউদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হয়। তাদের ধারণা পরকীয়ার জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ৪১ দিন পরে রবিবার বিকালে স্থানীয় এলাকাবাসীর তোপের মুখে এ হত্যার দায় স্বীকার করেন রুবি বেগম। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেহানা নেয়ামুলের স্বামী নেয়ামুল আকন কালকিনি থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যার পরে ঘটনাস্থালে গিয়ে স্ত্রী রুবি বেগমকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। পরে নিহতের ভাই নাঈম কাজী বাদি হয়ে রুবিকে আসামী করে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কালকিনি থানা পুলিশ ঘাতক রুবিতে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
অভিযুক্ত রুবি বেগম স্বীকারোক্তিতে জানান, আলীপুর মোল্লারহাট বাজারের ওষুধের দোকানের চিকিৎসক আব্দুল আলির কাছ থেকে ঘুমের ওষুধ এনে দুধের সাথে মিশিয়ে নাজিমউদ্দিনকে খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করা হয়।
নিহতের ভাই মামলার বাদী নাঈম বলেন, আমাদের আগেই সন্দেহ হয়েছিল নাজিমউদ্দিন মারা যায়নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় এলাকার লোকজন নিয়ে রুবিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রুবি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন। তাই তার বিরুদ্ধে আমি হত্যা মামলা দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার থানায় হত্যা মামলা করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন রুবি বেগম। পরে তাকে গ্রেফতার করে মাদারীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়।