শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
মানবিক ও চৌকস পুলিশ অফিসার-শাহনূর-এ আলম
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি : দৈনিক ঢাকার কন্ঠ নিউজ
সময়ে -অসময়ে নানান আলোচনা ও সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশিরভাগ আলোচিত হয়। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারাও যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই, আমরা তা স্বীকারে নারাজ। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। ।তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো শাহনূর এ আলমের মতো মানবিক পুলিশ অফিসার।
যিনি একজন ব্যতিক্রমধর্মী মিষ্ট ভাসি পুলিশ অফিসার।প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন জনগন ও দেশের কল্যাণে । পুলিশ জনগণের বন্ধু এই মন্ত্রকে বুকে ধারণ করে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করেন দেশের কল্যাণে।পুলিশ জনতার, জনতা পুলিশের এই স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তাঁর প্রতিটি কর্মে।
দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহনূর এ আলম নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর থানার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। অধিকাংশ মানুষই তাকে গরিবের বন্ধু ভাবে।তিনি তার সততা ও বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা এবং মেধার বিকাশে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ,মামলা হ্রাস, চোর-ডাকাতের উৎপাত ও দখল বাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব, জেলে,রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান।তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেশে মানুষের মাঝে উপস্থিত হয়ে মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনেছেন।তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার। মামলা নয়,আপোস হলে ভালো হয়”-এই স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর থানায় অধিকাংশ অভিযোগ বাদী-বিবাদীর মধ্যে আপোসের মাধ্যমে সমাধান করে দেন। ফলে তিনি দূর্গাপুর থানায় যোগদানের পর থেকে বিগত বছরের তুলনায় থানায় মামলা বহুলাংশে কমে গেছে।
তার মতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব। প্রতিটি অপরাধ দমনে দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহনূর এ আলমের মতো পুলিশ অফিসারের সান্নিধ্য পেলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যাপক অগ্রগতি হবে।
তার ছুটে চলা সর্বত্র। কখনও তিনি লাঠি হাতে সড়কে, কখনও রক্ত দিতে হাসপাতালে। পাঞ্জাবি পরে মাইক্রোফোন হাতে মসজিদের মিম্বরে দাঁড়িয়ে বক্তব্য, কখনো অসহায় এতিম শিশুদের পাশে গিয়ে নিজ হাতে মুখে অন্ন তুলে দেন।এসবের একটাই লক্ষ্য- মানুষের সেবা ও আস্থা অর্জন।
কোভিড-১৯ নামে এক ঘাতকের আঘাতে পৃথিবী লন্ডভন্ড। ছোঁয়াচে এক অদৃশ্য জীবাণুর কারণে সবাই ভয়ে তটস্থ। আপন মানুষগুলোও যেন পর হয়ে গেছে। প্রিয়জনও দূরে সরে গেছে। তবে মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা না করে অন্যের সাহায্যে ছুটে চলেছেন ওসি শাহনূর এ আলম।
পথচারীদের মাঝে
মাক্স বিতরণ, অটোরিকশাচালক থেকে শুরু করে বিভিন্ন অসহায়দের মাঝে খাদ্য বিতরণ, রাতের আধারে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ,কনকনে শীতে অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণসহ নানা বিধ কর্মে ব্যস্ত থাকেন তিনি।
একজন নেতা যেমন কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যান, একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে শিষ্যের কাছ থেকে সেরাটুকু বের করে নিয়ে আনেন ।একইভাবে তিনি তাঁর অফিসারদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে কাজ করিয়ে নেন।
শত বিপদে, প্রতিকূলতার মধ্যে যিনি বট গাছের ন্যায় আগলে রাখেন অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, সদস্যদের। ভালোবাসায় মুগ্ধ হন সাধারণ মানুষও।
থানায় আসা একব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি থানায় যোগদানের পর থেকে চুরি-ডাকাতি কমে যাওয়ায় রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। তিনি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ।জানতাম না এতো মানবিক অনুভূতির পুলিশও আছে।
অন্যদিকে দূর্গাপুর থানায় যোগদান করার পর ব্যতিক্রম বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেন। দূর্গাপুর থানা এলাকায় ছাত্র, তরুণ এবং যুব সমাজের অবক্ষয় রোধে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন, বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের সাথে জরিত তিনি।
দূর্গাপুর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওসি স্যারের অসংখ্য সৃজনশীল নির্দেশনা তৈরি করে অধীনস্থ অফিসারদের নিয়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে উপজেলাবাসীর কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া সুপার হিরো আমাদের অভিভাবক শাহনূর এ আলম।
দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহনূর এ আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবক সুযোগ্য পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি স্যারের দিকনির্দেশনায় আমরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। তাই আমি একজন আইনের সেবক হয়ে জনতার সাড়িতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যেতে চাই, প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে ঠিক তেমন ভাবে আমি দূর্গাপুর থানা বাসির জন্য কাজ করব।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি স্যারের মতো একরকম একজন ভালো সৎ পুলিশ সুপারের অধিনে কাজ করলে একজন পুলিশের কাছে সেটাও সম্ভব একজন অপরাধি কে ঘৃণার দৃষ্টিতে না দেখে আইনের মাধ্যমে তাকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখে আলোর পথে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। আমরা চেষ্টা করতে পারি তাকে ভালো করার সুযোগ দেয়ার। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন আমরা সত্যিই মানুষের স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই।
সোহেল খান দূর্জয়
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
০৬.১০.২০২১