শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ অপরাহ্ন
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নিউজ দৈনিক ঢাকার কণ্ঠ
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে বারহাট্টা উপজেলায়। গতানুগতিক আয়োজন নয় ভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একুশের চেতনাকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে নানা কর্মসূচি।
বারহাট্টা উপজেলা শহরে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে বারহাট্টা আধুনিক দৃষ্টি নন্দন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
শেষ হয়েছে আধুনিক শহীদ মিনারটির নির্মাণ কাজ। বারহাট্টা উপজেলা শহরের খোলা মেলা স্থানে মনোরম পরিবেশে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন বারহাট্টা উপজেলাবাসী।
বারহাট্টা শহরে আগে এরকম দৃষ্টি নন্দন কোনো শহীদ মিনার ছিলো না, বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের বতর্মান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হক কাশেমের আপ্রাণ চেষ্টা ও সহযোগিতায় এই দৃষ্টি নন্দন আধুনিক শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।
বারহাট্টা উপজেলায় আধুনিক দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনারের সামনে রয়েছে নেত্রকোনা টু মোহনগঞ্জ যাওয়ার প্রধান সড়ক, সঙ্গে রয়েছে সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, বারহাট্টা বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ও জেলা পরিষদ কাম মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম, ও ঈদগাহ মাঠ, পেছনে রয়েছে বারহাট্টা রেলওয়ে স্টেশন,এতো কিছুর ভিতরে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে দেখা যাবে এই আধুনিক দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার।
সময়ের দাবিতে সমাজ কল্যান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খসরু এমপির সহযোগিতায় জনপ্রিয় বারহাট্টা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হক কাশেমের একক চেষ্টায় ও সহযোগিতায় এবার নতুনভাবে এই আধুনিক দৃষ্টি নন্দন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, এই শহীদ মিনারটি ইতিমধ্যে সকলের মন খেরেছে, যা না দেখলে বিশ্বাসই হতো না।
যে শহীদ মিনারটি হয়েছে বারহাট্টা উপজেলার সবচেয়ে বড় শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটির দৈর্ঘ্য ৭১ ফুট এবং প্রস্থ ৫২ ফুট।
নির্মাণাধীন শহীদ মিনারটি দেখতে প্রতি দিন শত শত মানুষ জড়ো হচ্ছে এর সামনে ও বেদিতে। বারহাট্টা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হক কাশেম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি. এ গানের রচয়িতা সাবান মাহমুদকে স্বরন করি তার আমরণ এই গানের মাধ্যমে সবসময়ই।
(শহীদ মিনার)
সোহেল খান দূর্জয়
আমি আছি নিথর দাড়িয়ে এক খন্ড জমি দখল করে,
সালাম,বরকতের রক্ত যেখানে স্তরে স্তরে গিয়েছিল জমে, রক্ত স্নানিত সেই পিচ ঢালা পথে।
এই আমাকে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে ভাষা আন্দোলনের নীরব স্বাক্ষী করে, ইতিহাসের স্বাক্ষী করে৷
আমি দাড়িয়ে আছি সেই খানটাতে যেখানে আমাকে গড়া হয়েছে , অথচ , আজ মনে হয় বুঝি আমার নির্মাণ ব্যার্থ হয়েছে।
কালের বিবর্তনে আমাকে ভুলে যাচেছ, শুধু একবারই আমি উদ্ভাসিত হই এই বাংলার বক্ষস্হলে ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টায়ে যখন ফেব্রুয়ারির ২১ আসে,
এগার মাস পড়ে যখন ২১ আসে ফুলে ফুলে আমায় ভরিয়ে তোলে ৷
তবুও আমার প্রশ্ন রইলো চুরি করা ছাড়া ক’টা ফুল দিয়েছো মোরে।
আমি ২১ আমি শহীদের রক্তে রাঙ্গানো মিনার আমি এই বাঙ্গালী জাতীর উৎস আমিই এই স্বাধীনতার উৎস গৌরব ভরে স্মরণ করো মোরে নয়তো।
তোমাদের ঘরে যে আগামী প্রজন্ম আছে তারা ভুলে যাবে একুশ, ভুলে যাবে ভাষা আন্দোলন, ভুলে যাবে শহীদদের, ভুলে যাবে শহীদ মিনারের ইতিহাস।
।।।।।।।।।।।।
নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টায় নবনির্মিত এই আধুনিক দৃষ্টি নন্দন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটির নির্মাণ কাজের (১৯ ফেব্রুয়ারি ) শুভ উদ্বোধন করবেন (নেত্রকোনা- বারহাট্টা-২) আসনের সংসদ সদস্য সমাজ কল্যান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি।মহান শহীদ ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে সকল স্তরে বাংলা ভাষা চালুসহ ৫২’র ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবে বলে এমনটাই আশা করছেন সকল বারহাট্টা উপজেলাবাসীর।।
সোহেল খান দূর্জয়
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
০১৩১৭.৫৪.৯৫.৬৮
১৬.০২.২০২২ ইং