বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বাংলাদেশ সোসাইটির নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের লালগালিচা সংবর্ধনা সিরাজুল আলম খান সেন্টার এর উদ্বোধন: সিরাজুল আলম খানের দর্শন:অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রগঠনে দিশারি আ স ম রব পানি বিশুদ্ধকরণ নামে, ও অবিশুদ্ধকরণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পানির ব্যবসা চলছে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস সমস্ত সভ্যতার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার হাইকোর্টের নজরে ইসকন-চট্টগ্রামের ঘটনা : আদালতকে পদক্ষেপ জানাবে সরকার আমিরিকা দূতাবাসে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া বিনাসুদে ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সারা দেশ থেকে লোকজন আনেমোস্তফা আমীন বিএনপির নিবেদিত প্রাণ এখন মৃত্যু শয্যায়, খোঁজ নেয়নি কোন নেতা! বদলগাছীতে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু,আহত-২

শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএমএসএফ চট্টগ্রাম জেলা ও বন্দর জোন কমিটি

শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএমএসএফ চট্টগ্রাম জেলা ও বন্দর জোন কমিটি

মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ

অমর একুশে প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ এর চট্টগ্রাম জেলা ও বন্দর জোন কমিটির উদ্যোগে ভাষা ও শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় অস্থায়ী শহিদ মিনারে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদদের প্রতি ২১ তারিখ ১২ টা ১ মিনিটে শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেন, শহীদদের স্মরণে যথাযথ মর্যাদায় সাথে দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়।

১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে এ বিষয়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়,এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃত লাভ করে।

২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশ সমূহে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয়ে আসছে, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ একুশের প্রথম প্রহরে ১২টা ১ মিনিটে সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এর পরপরই শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা সহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতি একুশের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকসহ আরো অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি সেদিন ‘মায়ের ভাষার’ মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও পায় নবপ্রেরণা। এরই পথ বেয়ে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। পরবর্তী নয় মাস পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে সংযোজিত হয় নতুন এক স্বাধীন সার্বভৌম দেশ- ‘বাংলাদেশ’।

একুশে ফেব্রুয়ারি শোকাবহ হলেও এর যে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় তা পৃথিবীর বুকে অনন্য। কারণ বিশ্বে এ যাবতকালে একমাত্র বাঙালি জাতিই ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ছুটির দিন। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এর চট্টগ্রাম জেলা কমিটির উদ্যোগে ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে জেলা কমিটির আহ্বায়ক কে এম রুবেল শহীদ মিনার চত্বরে সাংবাদিকদের সাথে প্রতিক্রিয়া জানাতে তিনি বলেন, যে ভাষার জন্য ৫২’র আন্দোলনে এদেশের দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্তে-জীবন বিলিয়ে গেলেন; আর এখন সেই ভাষা নানা ভাবে বিকৃত হচ্ছে। আইন আদালতে ইংরেজীতে আদেশ দিচ্ছেন; যা প্রায় ৯০ ভাগ সাধারণ মানুষের বোধগম্য হয় না। বাঙালী জাতির ঐতিহ্যবাহী বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় রাষ্ট্রীয় ভাবে সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত হওয়াটা জরুরী বলে আমি মনে করছি।

তিনি আরো বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায় পৃথীবির বহু দেশে অন্য দেশের ভাষা চাপিয়ে দিয়ে নিজ দেশের ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেমন সাউথ সুদানের ভাষা বিলুপ্ত করে নর্থ সুদানের ভাষা, ইথুউপিয়ার ভাষা বিলৃপ্ত করে অন্য ভাষা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। তেমনি ৫২’র দিকে বাংলাদেশে বাংলা ভাষার স্থানে উর্দূ ভাষা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলার দামাল ছেলেরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করেছিল। তেমনি সেই চক্রান্ত কিন্তু এখনও মুছে যায়নি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন
চট্টগ্রাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক কে এম রুবেল জেলা কমিটি, আরো উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মুক্তার আহমেদ , ইয়াছিন আরাফাত, আহমেদ শাকিল, আব্দুল সফুর সাখাওয়াত শিবলী, মোঃ মামুন,শেখ আহমেদ শাকিল, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল গায়ের, রতন বড়ুয়া, মোঃ দিদারুল আলম, মির সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ , মোঃ জাফরুল ইসলাম, রওশান আলী, রোকনউদ্দিন জয়, আসিফ খন্দকার ,দিলু জইতা বড়ুয়া, আব্দুল ছালাম, মোঃ সেলিম খোকন,

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,জাতীয় দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোচীফ,মোঃ শহিদুল ইসলাম
( শহিদ) ,জাতীয় দৈনিক একুশের সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার,মোঃ রিয়াজ উদ্দিন,দৈনিক তালাশ টাইমস পত্রিকার চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান , মোঃ শুক্কুর ও প্রমুখ

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com