শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন
বুধবার ১১.২০২২ ইং
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় মেঘালয়ের সীমান্তবর্তী জেলা নেত্রকোনায় শীত জেঁকে বসেছে। একদিনের প্রচণ্ড ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কুয়াশা থাকায় সকালে জেলা শহর ও তার বাইরের সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে ছোট যানবাহানসহ বাস চলাচল করতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) নেত্রকোনা কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায়, সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, সোমবার দিনভর সূর্যের আলো কিছুটা নিভু নিভু অবস্থায় ছিল। দুপুরের পর রোদ দেখা দিলেও তাপের তীব্রতা ছিল না তেমন। সাথে কিছুটা হিমেল হাওয়া বয়। তবে খানিকটা দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও গ্রাম অঞ্চলের স্থানীয়রা শীত নিবারণে গরম কাপড় পরে বাইরে বের হন। অন্যদিকে, সন্ধ্যা হতেই গত কয়েকদিন যাবত ঠাণ্ঠার প্রবণতা দেখা যায়। মানুষজন প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আগে ভাগেই বাড়িতে ফিরে আসেন।
জেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এ তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন আরো কমবে বলে জানান তারা।
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জেলা শহর ও এর আশেপাশের উপজেলা গুলো।এতে সকালে ও রাতে যানবাহন চলাচলে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। সড়কে বাতি জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এ ছাড়া দিনে শীত কিছুটা কম পড়লেও রাতে এর তীব্রতা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। গত এক সপ্তাহের মধ্যে দৃষ্টিসীমা সবচে কম ২০০ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে সোমবার।
গ্রাম অঞ্চলের মানুষজন জানান, নেত্রকোনায় গত কয়েকদিন ধরেই দিনে হালকা কুয়াশা পড়ে আসছে। কিন্তু রবিবার রাতে ঘনকুয়াশা দেখা দেয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল পুরো গ্রাম অঞ্চল। তেমন দেখা মেলেনি সূর্যের। এরপর থেকে কুয়াশা কিছুটা কমতে শুরু করলেও কমেনি শীতের তীব্রতা। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় শীতার্তদের সহায়তায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
বারহাট্টা সরকারি কলেজ রোড এলাকার বৃদ্ধা সুরুজ বাঙালি বলেন, ‘কুয়াশার সাথে এত শীত আগে দেখিনি। এতদিন জানতাম কুয়াশা বেশি পড়লে শীত কম হয়, কিন্তু এখন হচ্ছে তার উল্টোটা।
প্রকৃতিতে যে পরিবর্তন আসতেছে, এটা তারই প্রমাণ। আর এমন বিচিত্র আবহাওয়ার কারণে আমাদের সর্দি-জ্বর, ডায়রিয়া বাড়তে শুরু হয়েছে। এত শীত-কুয়াশা পড়লে আমাদের মতো বৃদ্ধাদের ভীষণ কষ্ট ভোগ করতে হয় বলেন তিনি।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, নেত্রকোনায় শীতের তীব্রতা আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন কিছুটা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। প্রতি বছর সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিত্তবানদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ায়। এবারও সবাইকে শীতার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহবান করছি।